না জেনে না বুঝে যা হলো আর কি

চারা গাছে জল দেওয়া শেষ,
একটা পছন্দের কাজ হলো বটে,
দিনটা আমার যেমনই কাটুক না কেন...
এই ছোটোখাটো ভালোলাগা গুলো যেন,
আমার আঙ্গুল গুলো চেপে ধরে রাখে,
চেপে ধরে রাখে বলেই হয়তো আজ বেঁচে আছি।
নইলে তো কবেই চাপা পরতাম এই মারপ্যাচের পৃথিবীতে।
বাদ দি বরং সে সব কথা, এসব তো রোজ লেগেই আছে।
বর্ষা শুরু হয়ে গেছে, এ যেন এক অনাচার,
এক্ষুনি অনেকে ছুটে এলো বলে,
কি দুঃসাহস হ্যাঁ আমার ...বৃষ্টি কি না অনাচার?
বলে কি? বলি মাথার ঠিক আছে তো?
না না অপরাধ নেবেন না...এ আমার নিতান্তই ব্যক্তিগত মতামত।
তা রাস্তায় ভিজে বস্ত্র সঙ্গে পায়ের জুতোটা অবধি সপসপে,
বিষয়টা আমার কাছে খুবই বিরক্তিকর সঙ্গে যন্ত্রনাদায়ক ও বটে।
ভেজা কাঁচে আঙ্গুল দিয়ে আঁকতে মন্দ লাগে না, তবে,
পথসঙ্গী হিসাবে আমার এমনই মনভাব।
এসব কথা বাদ দিলেই তো হয়, আচ্ছা মুশকিল!
বড্ড বাজে বকা হয়ে যাচ্ছে,
আসলে কিছুই নয়, দিন চলে যায়,রাত নেমে আসে,
কে যেন ঝপ করে চাঁদের দেওয়া জ্যোৎস্নার আলোটা,
মুহূর্তের মধ্যে নিভিয়ে দেয়, গোটা আকাশটা যেন ঘুটঘুটে
অন্ধকার হয়ে যায়, আমি জেগে থাকি, জেগে থাকি ঘুমের ভিতরে।
শহরের শিরা-ধমনী দিয়ে বয়ে চলে নিস্তব্ধতা,
আমি ঘুমিয়ে পড়ি, আমার উপলব্ধি ঘুমোতে পারে না।

©মাম্পি মল্লিক

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ